৩০ আগ, ২০১৯

খৈয়াছড়া ঝর্ণা ভ্রমন গাইড: কোথা হতে কিভাবে এবং প্রস্তুতি

আমরা ৫ জন চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের আলিফ হোটেলে একত্রিত হই এবং সকালের নাস্তা সেরে আমরা চয়েস পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠে রওনা হই খৈয়াছড়া ঝর্ণার (Khoiyachaara Waterfalls) দিকে। অলংকার মোড় হতে খৈয়াছড়ার (ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে) দিকে। 



খৈয়াছড়া ঝর্না অভিযানের সম্পুর্ণ ভিডিও দেখুন:




অলংকার মোড় হতে প্রায় ৫০ মিনিটে আমরা পৌছে যাই ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের খৈয়াছড়া পয়েন্টে।





বেশ কয়েকটি বাঁশ ও কাঠের তৈরী সাকো পার হয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।



স্থানীয়দের বাড়ি হতে বের হওয়ার জন্যও রয়েছে সাকো।





ঝর্না হোটেলে আমরা।



ঝর্না হোটেলে আমাদের লাঞ্চের প্রস্তুতি।


বর্ষায় সবুজ প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে যা চোখ জুড়িয়ে দেয়।


সবুজ প্রকৃতির সবই সুন্দর ও মনোরম।


পিচ্চিল ও কর্দমাক্ত পাহাড়ী পথে আমাদের অভিযান চলছে।


এক ফাকে সেলফি!


খৈয়াছড়া ঝর্ণার কাছাকাছি এসে পড়েছি আমরা।



পাথর আর পানির বন্ধুর রাস্তায় আমাদের ছুটে চলা।


পাহাড়ী খৈয়াছড়ার ঝর্ণার পথে।


পাহাড়ী ঝর্ণা, পাথর আর সবুজ বনের যেখানে মিতালী।


খৈয়াছড়া ঝর্ণার প্রথম ধাপের কাছে আমরা।


জোঁক আর পোকা মাকড়ের ভয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।



প্রকৃতির সৌন্দর্য কখনও কখনও উদাষী করে করে পর্যটকদের!!




উচ্ছল ঝর্ণায় উতালা তারুন্য!!




ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রকৃতি।



প্রকৃতি যেখানে মোহগ্রস্ত করে।






বৃক্ষ ও পাহাড়ের ফাকে সুর্যর উকি মারা।


পাহাড়ী পথ






পাথুরে জর্ণা।





”কখনও পহাড় যেখানে পাথর চিরদিন জেগে থাকে”



খৈয়াছড়া ঝর্নার প্রথম ধাপ : আনন্দে উচ্ছল পর্যটক


মন চায় প্রতি পদের স্মৃতি ক্যামেরা বন্দী করি!


উচ্ছল উদ্দাম ঝর্ণা।



উচ্ছল ঝর্ণায় আনন্দে উদ্ভাসিত পর্যটক।






ঝর্নার জলে অবগাহন






উচু পাহাড়ের গা বেয়ে আছড়ে পড়ছে ঝর্ণার পানি।











Our Social Channels:

Youtube.com/

Blog: VromonBangla.com

Facebook.com/Travell2Life

Instagram.com/TravelL2life

Twitter.com/Travell2Life

Pinterest.com/Travel2Life

ViewBug

২ জুন, ২০১৯

ফ্যামিলিসহ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সাথে ছেড়া দ্বীপ

শাহাজাহান ভাই’র প্রস্তাব: সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমনে যাব।

সিদ্ধান্ত হল আমরা ০৮ হতে ১০ ফেব্রুয়ারী সেন্ট মার্টিন ও ছেড়া দ্বীপ ভ্রমণ করব, ইনশাল্লাহ।

All Tourists We Had the Tour to St. Martin Islands
০৮ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টায় আমরা চট্টগ্রাম দামপাড়া হতে সৌদিয়া গাড়িতে যাত্রা করি টেকনাফের উদ্দেশ্যে। আমারা মোট ৫ পরিবার, ১৭ সদস্য। 

ভোর হওয়ার কিছুটা আগেই আমরা পৌছে যাই টেকনাফে। শহরের ”প উ ষী” আবাসিক হোটেলে কয়েক ঘন্টার যাত্রা বিরতি করি। সহ সবাই ফ্রেশ হই। সবাই একসাথে ”প উ ষী” এর নিচ তলার রেস্টুরেন্টে নাস্তা করি।

Teknaf Poush Hotel, We Took Rest
টেকনাফ প উ ষী হোটেলে সকালের নাস্তা

সকাল ৮:৩০ টায় যাই টেকনাফ জাহাজ ঘাটে।

We are waiting for ship at Teknaf

সময়মত উঠে পড়ি “কেয়ারী কুরুজ এন্ড ডাইন” (Keari Cruise and Dine) এ।

“কেয়ারী কুরুজ এন্ড ডাইন” (Keari Cruise and Dine)


উঠে পড়লাম জাহাজে। এ সি কম্পার্টমেন্ট বেশ সুসজ্জিত ও পরিপাটি। 




সারাক্ষন শুধু ঘুরাঘুরি করছি আর উপভোগ করছি নদী ও সাগরের নির্মল প্রকৃতি।

On the Ship's Mast

On the Ship's Mast


নাফ নদীর বুক চিরে আমরা ছুটে চলছি বঙ্গোপসাগর তথা সেন্ট মার্টিন এর দিকে। 

হাসি আনন্দ আর সেলফি/ভিডিও উপভোগ করতে করতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সেন্ট মার্টিন এর দিকে।

সমুদ্রের বুক চিরে সেন্টমার্টিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।  বাচ্চারা ছুটোছুটি করছিল জাহাজের বিভিন্ন জায়গায়। 



আর আমাদের জাহাজ কে অনুসরণ করা অসংখ্য সুন্দর সুন্দর সিগাল (গাঙচিল)।

Amazing Flying Sea Gull in The Bay-of-Bengal

ওরা আমাদেরকে বিশ্বাস করে অনুসরণ করছিল এবং আমরা যে খাবার দিচ্ছিলাম সেগুলি তারা লুফে নিচ্ছিল। 

নীল জলরাশির বঙ্গোপসাগর, নাফ নদী এবং এলাকা উপভোগ করতে করতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জাহাজ ঘাটে পৌঁছে গেছি।

Getting down from Ship, Keary Cruise and Dine

জাহাজ থেকে নামলাম এবং জাহাজ ঘাট থেকে আমাদের আগেই বুকিং দিয়ে রাখা লাইট হাউজ রিসোর্ট  মাত্র ৫-৭ মিনিট এর মধ্যে পৌঁছে গেলাম।

আমরা প্রবেশ করলাম যার যার জন্য নির্ধারিত রুমে।
লাইট হাউস রিসোর্ট এর মধ্যে ১
লাইট হাউস রিসোর্ট এর মধ্যে ২
লাইট হাউস রিসোর্ট এর মধ্যে ৩
লাইট হাউস রিসোর্ট এর মধ্যে ৪

আমার রুমের নাম ছিল দোলনচাঁপা, রোমান্টিক একটা নাম।

লাঞ্চেল অর্ডার দিয়ে আমরা বের হলাম সেন্টমার্টিন ওয়েষ্ট বিচের দিকে।

আমরা দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম রিসোর্ট থেকে এবং পৌছে গেলাম সেন্টমার্টিনের ওয়েস্ট 
পয়েন্টে।

শামীম ও তার পরিবার ওয়েষ্ট বিচ: সেন্টমার্টিন

শাহাজাহান ও তার পরিবার ওয়েষ্ট বিচ: সেন্টমার্টিন
মনির ও তার পরিবার ওয়েষ্ট বিচ: সেন্টমার্টিন
রেজা ও তার পরিবার ওয়েষ্ট বিচ: সেন্টমার্টিন
St. Martin Ship Ghat to Resort

সেন্টমার্টিনের ওয়েস্ট বিচে যে যার মত দৌড়াদৌড়ি, সাঁতার কাটা, লাফালাফি, সেলফি ভিডিও ইত্যাদিতে কেটে গেল। 

Shamim at Samudra Bilash
যাহোক আমাদের বিচের ঘোরাঘুরি ছবি তোলা সেলফি পর্ব শেষ হলো। ঘোরাঘুরি করলাম হুমায়ূন আহমেদ খ্যাত সমুদ্র বিলাসে। 


রিসোর্টে এসে ফ্রেশ হই এবং ইতিমধ্যে আমাদের জন্য অর্ডারকৃত লাঞ্চ  প্রস্তুত। সেরে ফেলি লাঞ্চ। 

এরপর বেরিয়ে পড়ি আমাদের রিসোর্টের খুবই সন্নিকটে সি বিচ দেখতে।

সন্ধায় চলে যাই জাহাজ ঘাট সংলগ্ন বাজারে। উপভোগ করব মচমচে ফ্লাইং ফিস। 

Sea Fish/Sea Foods at St. Martin

রাতে ছিল কোরাল বারবিকিউ।

এরপর প্রায় রাত ১২ টায় বারবিকিউ রেডি এবং ডাক পড়ল ডিনারের জন্য।

আমাদের রিসোর্টে অন্য একটি বড় টিম এসেছে তাদের আয়োজনে গান ফানুষ ওড়ানো এনজয় করলাম। 

দ্বিতীয় দিন:

ভোরবেলা উঠে আমরা কয়েকজন বেরিয়ে পড়ি পায়ে হেঁটে পুরা সেন্টমারটিন ঘুরতে।

শুরু হলো দ্বিতীয় দিনের আসল আকর্ষন। গন্তব্য ছেড়া দ্বীপ। 

আমরা সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে সবাই চলে গেলাম জাহাজ ঘাটে একটি শাম্পান ভাড়া করে যাত্রা শুরু করি ছেড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে।






যাওয়ার পথে আমরা দেখেছি পরিষ্কার স্বচ্ছ পানির সাগর এবং সেখানে জীবিত ও মৃত অনেক প্রবাল এবং শৈবাল।
সামুদ্রিক প্রবাল ১
Marine coral


মাইকিং করা হচ্ছিল যে এখানে যেন কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলা না হয়।

সেন্টমার্টিন এবং ছেঁড়া দ্বীপের প্রাকৃতিক বৈচিত্রকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য আমাদের সকলের ঐকান্তিক চেষ্ট করা উচিত।

আমরা সবাই ছেড়া দ্বীপের ডাবের স্বাদ নিতে ভুল করিনি।

Source: outbackadventuresdr


ফাইনালি, আমরা ছেঁড়া দ্বীপ এর প্রকৃতি পরিবেশ উপভোগ শেষে আমরা আমাদের সাম্পানে ফিরে আসলাম সেন্টমার্টিনের রিসোর্টে।

লাঞ্চ সেরে সবাই যার যার মালামাল গুছিয়ে যথারীতি আগে থেকেই বুকিং দেওয়া জাহাজে উঠে পড়লাম। 

সমাপ্ত হল আমাদের দুই দিন এক রাতের মজার সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ।

আরো জানতে আমাদের : 

Facebook.com/Travell2Life

Pinterest.com/Travel2Life/

Instagram.com/travell2life

Twitter.com/Travell2Life


Viewbug.com/member/Travel2Life

Blog: VromonBangla.com